বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে জোড়া হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতদের স্বজনেরা। আজ রোববার বেলা ১১ টায় কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ হলরুমে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত রকিব উদ্দিন রুমানের বড় ভাই ও কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু। লিখিত বক্তব্য তিনি উল্লেখ করেন, গত ২ রা আগষ্ট রোববার সন্ধ্যায় তাঁর ছোট ভাই কেশবপর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রকিব উদ্দিন রুমন ও চাচাতো ভাই ওই ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ইশাদ তালুকদারকে কেশবপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান ও একই ইউপি’র আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু ও তাঁর মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার একদিন পরে মঙ্গলবার নিহত রুমানে বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এখনও মামলার প্রধান আসামী মহিউদ্দিন লাভলুসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন আসামীদের রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করছেন না। যার ফলে আসামীরা বাদী পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নরকমের হুমকি দিতে আসছেন। তাই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা মোসাঃ ফাতেমা বেগম(শিশু), বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু, জিয়া উদ্দিন সুজন, বোন জেবুন্নাহার অনি, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক(ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান খান টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান শামীম মুন্সী ও য়ুবলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে নিহত রুমানের মা ফাতেমা বেগম(শিশু) কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে রুমানকে যারা হত্যা করেছেন তাঁদের কে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির রায় ঘোষণা এবং তা কার্যকর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিহতের বড় ভাই অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেশবপুর ইউনিয়ন থেকে আমি দলীয় মনোনয়ন পেতে পারি এমন আশংকায় ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাই আমার হাতকে দুর্বল করার জন্যই লাভলুর নির্দেশে তাঁর সমর্থকরা আমার ছোট ভাই রুমন ও চাচাতো ভাই ইশাদ তালুকদারকে গত ২ রা আগষ্ট রোববার সন্ধ্যায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
Leave a Reply